আমার মায়ের খুব ক’ষ্ট, মাকে বাঁ’চাতে দুটি শিশুর করুন আ’কু’তি

আমার মাকে আপনারা দয়া করে বাঁ’চান, আমার মায়ের খুব ক”ষ্ট! আমার মা সারাদিন খালি আমাদের দুই ভাইকে জ’ড়ি’য়ে ধরে কাঁ’দে, ঠিকমত কিছু খায়না। আর থাকি থাকি প্র’চন্ড য’ন্ত্র’নায় মাটিতে গ’ড়াগ’ড়ি করে। মাসুম ছেলে হোসাইন এখনও ঠিকমত কথা বলতে না পারলেও ছোট ভাইকে কোলে নিয়ে অঝোরে কাঁ’দতে কাঁ’দতে কথাগুলো বলেন অসুস্থ আয়শা বেগমের বড় ছেলে জাহিদ হাসান।

বলছি কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার মন্নেয়ার পাড় গ্রামের অসুস্থ আয়শার কথা। আয়শা বেগম দু’রারো’গ্য ব্যা’ধি (ফেবরোয়িড ইউট্রাস) রোগে আক্রান্ত। রোগটি স্পর্শকাতর ও অতি বি’প’দজন’ক জায়গায় হওয়ায় ডাক্তার আজ থেকে ১ বছর আগে আয়শাকে অ’পারে”শন করতে বলেন। ডাক্তার আরও আশংকা প্রকাশ করে বলে অপারেশন না করতে পারলে তার রোগটা ক্যা’ন্সা’রে রুপ নিতে পারে। অ’পারে’শন এবং অ’পারেশ’ন পরবর্তী ওষুধের জন্য প্রায় ৬০ হাজার টাকা লাগবে বলে জানায়।

কিন্তু যেখানে দরিদ্র আয়শার স্বামী দু’বেলা দু-মুঠো ভাত জোগাড় করতেই হি’মসিম খায় সেখানে ৬০ হাজার টাকা যোগাড় করা প্রায় স্বপ্নের মতোই ব্যাপার। তাই অসহায়ত্বকে পুঁ’জি করে আল্লাহপাকের উপর সব ছেড়ে দিয়ে নিরবে নি’ভৃতে কাঁ’দা ছাড়া আর কি ই বা করতে পারে আয়শার পরিবার।

উল্লেখ্য চলতি মাসের ৮ তারিখে ‘দুটি ছোট বাচ্চার জন্য মায়ের বাঁ’চার আ’কু’তি!’ শিরোনামে সময়ের কন্ঠস্বরে খবর প্রকাশ হয়। খবর প্রকাশের পরে তার জন্য কেউই এগিয়ে আসেনি। এ খবরটি আয়শাকে দিলে আজ শনিবার ১৩/০২/২১ প্রচন্ড কান্নায় ভে’ঙ্গে পড়েন অসু’স্থ আয়শা বেগম।

আয়শার দুই শিশু জাহিদ হাসান ও হোসাইন । এর মধ্যে বড় ছেলে জাহিদ হাসানের এ প্রতিবেদকের সাথে কথা হলে সে অঝরে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমাদের মা’কে আপনারা বাঁচান। আমাদের মা সারাদিন মন খারাপ করি থাকে, খালি কাঁদে, ব্যাথায় চিৎকার করে, ঠিকমতো কথা বলে না কিছু খেতে পারে না। তিব্র ব্যাথায় মাটিতে গড়াগড়ি করে। আপনারা আমাদের মাকে বাঁচান।

কথা হলে আয়শা বেগম এ প্রতবেদককে বলেন, মুই বাঁ’চার আশা ছাড়ি দিচং! প্রচন্ড পেট ব্যাথা,তলপেট খচাখচি করা, আজগুবি পুরো শরীরে তাপ ওঠা,হঠাৎ করে মুখ ফুলে যাওয়ার কারণে সারাদিন চ’র’ম ক’ষ্টে থাকি। এখন কয়েকদিন থাকি বেশি হইছে। সহ্য করবের পাংনা। এতো কষ্টের চেয়ে মো’র ম’র’ণ ভালো! তিনি আরও প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন মুই ম’র’লে মোর অবুঝ ছওয়া(বাচ্চা) দুই টার কি হবে ?? ছওয়া (বাচ্চা) দুইটার জন্য বাঁচপার চাং। তোমরা দয়া করি মোক বাঁ’চান। সবার কাছে অনু’রো’ধ মোক তোমরা সাহায্য করো। মুই ‘মর’লে মোর মাসুম বাচ্চা দুইটা যে এতিম হবে !

প্রতিবেদকের দু’টি কথাঃ আমি অসুস্থ আয়শা ও তার ছেলের করুন আকুতি শুনে তার অপা’রেশন করানোর চেষ্টা করছি। আমি নিজেই দেশ বিদেশের সকল হৃদয়বান বিত্তবান মানুষের সহযোগিতা নিয়ে আয়শা বেগমের অপা’রেশনটা করাতে চাই। আয়শা বেগম প্রায় প্রতিদিন আমার বাড়িতে এসে খুব কান্নাকাটি করে। তাই মাসুম বাচ্চাদুটোর মাকে বাঁচাতে আসুন যে যার অবস্থান থেকে সামর্থমত এগিয়ে আসি। জয় হোক মানবতার, শিশুদুটো ফিরে পাক তাদের সুস্থ মাকে।

আয়শার পাশে দাড়াতে তার ব্যাক্তিগত হিসাব নং- ২০৫০৭৭৭০২৮৩৪৪৮৯০৭, হিসাবের নাম- আয়শা বেগম, ব্যাংকের নাম- ইসলামী ব্যাংক, (এজেন্ট ব্যাংকিং) কুড়িগ্রামআরও তথ্য ও ভিডিও কলে আয়শার সাথে কথা বলতে আমাদের স্টাফ রিপোর্টার প্রভাষক , ফয়সাল শামীম-০১৭১৩২০০০৯১।